নেতানিয়াহু, ট্রাম্প ও পুতিন: একটি ত্রিপাক্ষিক ভালোবাসার গল্প
মারওয়ান বিশারা, আল জাজিরা ইংরেজি:
তাকে জোচ্চোর বলতে পারেন, বলতে পারেন যুদ্ধোম্মাদ,
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ছাড়া আর কে যুক্তরাষ্ট্র
ও রাশিয়া, এবং উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পুতিনের সাথে সফল বৈঠক করতে পারতেন,
তাও আবার ইসরায়েলের নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে?
তার আপাত-উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট, তবে নির্বাচনে
জেতার কূটনীতির বাইরেও আরো কিছু নিশ্চয়ই আছে। এ ধরনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাষ্ট্রীয়
ব্যক্তিত্বদের আরো বৃহত্তর কৌশলগত প্রভাব রয়েছে।
তো, এরকম পুঁচকে একটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক
হুমকির সম্মুখীন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত নেতা কী করে বিশ্বপরাশক্তিদের কাছ থেকে
অভ্যর্থনা পেলেন, তাও আবার তার পছন্দের সময়সীমাতেই?
এর উত্তর নিহিত আছে তিনপাক্ষিক ঘনিষ্ট
সম্পর্কের মধ্যে, কখনো কখনো যেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে, এবং সম্ভবত এই সম্পর্কই আগামী কয়েক
বছরের মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির গড়ন ঠিক করে দেবে।
দাবার গ্র্যান্ড মাস্টার!
সবকিছুর শুরু হয়েছিলো ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের
শেষের দিকে ট্রাম্প টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে।
নেতানিয়িাহু তখন জাতিসংঘের বার্ষিক শীর্ষ
সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য নিউ ইয়র্ক সিটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাব্লিকান
প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এক অনানুষ্ঠানিক ও অনির্ধারিত পরিচিতিমূলক বৈঠকে বসেন।
ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের
বয়ান অনুসারে, সে বৈঠকটি খুব শিগগিরই বিশ্ব ভূরাজনীতির “মাস্টার ক্লাস” বৈঠকে রূপান্তরিত
হলো। বিশ্ব-রাজনীতির পাকা খেলোয়াড় ইসরায়েলের চারবারের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিলিয়নিয়ার এই
রাজনৈতিক নবিশকে মধ্যপ্রাচ্যের তিক্ত বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্কের গুরুত্ব
সম্পর্কে সবক দিলেন।
দুই জনেই এই সুযোগটা কাজে লাগালেন। বেশ
ভালোভাবেই।
নেতানিয়াহু শুধু যে ট্রাম্পের
সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিয়েছিলেন, তাই নয়। তিনি ট্রাম্পের নিজস্ব কিন্তু এলোপাতাড়ি
বিদেশনীতিসমূহকে যুক্তির ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন। নিরাপত্তা,
অভিবাসন, সন্ত্রাসবাদ, ইসলাম ইত্যাদি – এমনকি সীমান্ত-প্রাচীরের
সুবিধা, কোন কিছুকেই তিনি বাদ দেন নি।
তিনি গুরুত্ব সহকারে ট্রাম্পকে সহজ একটা
সূত্র বুঝালেন, রাশিয়া নয়, ইরানই “আমাদের” প্রধান শত্রু। বুঝালেন যে- সত্যি কথা হলো, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট
আয়াতুল্লাহদের বিরুদ্ধে এবং চরমপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে আমাদেরকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সাহায্য
করতে আগ্রহী।
বেস্ট সেলার বই কুশেনার, ইনক.র লেখক ভিকি
ওয়ার্ডের মতে, নেতানিয়াহুই আসলে “গ্র্যান্ড
মাস্টার দাবাড়ু”, যিনি ট্রাম্পকে পুতিনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়নে
প্ররোচিত করেছেন।
এসব মন্ত্রণা শুনতে ট্রাম্পেরও বেশ ভালোই
লাগছিল। তিনি ইতোমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে নিজদেশে এবং ইউরোপে তার নিন্দুকদের
ব্যাপারে ব্যক্তিগত মতবিনিময় করেছেন। এখন তিনি একটা কৌশলগত তত্ত্ব পেয়ে আরো শক্তি পেলেন।
এ তত্ত্ব অনুসারে সমমনা শক্তিশালীদের সাথে নয়া অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে হবে।
আকর্ষণ
এটা তখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহজ একটা মিত্রতা
ছিল। বেনজামিন, ডোনাল্ড এবং ভ্লাদিমির আসলে একে অপরকে পছন্দ করতে লাগলেন এবং একে অপরের
প্রশংসাও করতে লাগলেন। তাদের হয়তো ভিন্ন অতীত এবং ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, কিন্তু তারা
তো একই ধাতুতে গড়া।
তিন শ্বেতাঙ্গ বুড়া, তিনজনের ব্যক্তিত্বই
একই ধরনের, আদর্শের দিক থেকে লোকলঞ্জনবাদী জাতীয়তাবাদী। মোটাদাগে তিনজনই কূটকৌশলে পারদর্শী,
ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে সুপটু। তারা তিন জনেই আবার মুক্ত সাংবাদিকতা
ও সক্রিয় স্বাধীন বিচার বিভাগকে অপছন্দ করেন।
এই তিনজনার উত্থানের মূল কারণ, তাদের চুড়ান্ত
রকমের প্রতিশোধপরায়ণতা, তিন জনেই সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন বারাক ওবামা এবং তিনি যে সকল
বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন: সেটা হোক বহুসংস্কৃতির চর্চা, উদার আদর্শ কিংবা উদার বিদেশ
নীতি।
হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করার পরপরই ট্রাম্প
সাহেব ওবামা দেশে-বিদেশে যেখানে যা করেছেন, সব কিছু ধ্বংস করতে উঠ-পড়ে লেগে যান। এসব
করতে গিয়ে তিনি সকল আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক চুক্তিকে পদদলন করেন, শুধু মাত্র
তার দুই জানে-জিগর দোস্ত আর বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান বিশেষ ধরনের ভক্ত সম্প্রদায়ের
সন্তুষ্টির নিমিত্তে।
তিনি প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি ও
ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন, মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরের অনেক দেশে জঘন্য
উৎপীড়ক শাসকদের নিঃশর্ত সমর্থন প্রদান করেন।
এই ত্রয়ী নতুন একদল ক্ষমতার পুজারী উগ্রজাতীয়তাবাদীদের
আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করতে শুরু করলেন। এদের মধ্যে সৌদি আরবের মুহাম্মাদ বিন সালমান
এবং মিসরের আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি থেকে শুরু করে ব্রাজিলের জায়র বলসনারো এবং হাঙ্গেরির
ভিক্টর ওরবান প্রমুখ রয়েছেন। ট্রাম্প এবং পুতিন হয়তো এই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কিন্তু
নেতানিয়াহু প্রকৃত অর্থে এদের “উদ্যোমী সক্রিয়কারী”।
এই তিন নেতা ধনতান্ত্রিক লোকরঞ্জনবাদকে
প্রতিষ্ঠা করার স্বার্থে উদারনীতি ও প্রগতিশীর চিন্তাকে উচ্ছেদ করতে চাইলেন। কিন্তু
বিশ্বব্যাপী নতুন একটি লোকরঞ্জনবাদী (পপ্যুলিস্ট) প্রবণতার নেতৃত্বদানে তাদের সাফল্য
তাদের মধ্যকার ব্রোমান্সকে (অতি ঘনিষ্ট সম্পর্ক) যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার নৈকট্য বৃদ্ধিতে
কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে পারে না।
একগুঁয়ে ভূরাজনীতি
ট্রাম্প কিংবা নেতানিয়াহু কেউই পুতিনের সাথে সুসম্পর্কের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র দফতরকে রাজি করতে পারেন নি, এমনকি ইরান বিরোধিতার নামেও সম্ভব হয়নি।
ইরান হয়তো একটা আঞ্চলিক ঝামেলা, কিন্তু
ডেমক্র্যাট এবং রিপাব্লিকান উভয় পক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতিনির্ধারকরাই মনে করেন,
রাশিয়া বিপজ্জনক বৈশ্বিক শত্রু।
পরাশক্তির রাজনীতির এক দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা
হলো, পরাশক্তিরা এক অরাজক পৃথিবীতেও তাদের প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাবে, এমনকি যদি যুদ্ধের
ঝুঁকিও থাকে— নেতৃত্বে কে থাকছে, কিংবা কোন সরকার পদ্ধতি চলছে,
সেটা এক্ষেত্রে বিবেচ্য হয় না।
এভাবে রাশিয়া আবারো বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ
ভূরাজনৈতিক খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে, এবং সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ
হিসেবে। এটা স্পষ্ট হয় উকরাইন এবং সিরিয়ায় পুতিনের সামরিক হস্তক্ষেপ এবং ভেনিজুয়েলায়
রাশিয়ান সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত থেকে, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে
পশ্চিমা বিশ্বে সরাসরি ওয়াশিংটনকে চ্যালেঞ্চ করা হচ্ছে।
যদিও ট্রাম্প এবং পুতিন একইভাবে চিন্তা
করেন, তাদের দেশ সব বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে থাকে: সাইবার যুদ্ধ থেকে শুরু করে পরমাণবিক
বিস্তার, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, এবং অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে
রাশিয়ান হস্তক্ষেপ, এসব বিষয়েই দুই দেশের অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কিন্তু তারা ইসরায়েলের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ
করেন – অথবা নিদেনপক্ষে
পুতিন এবং ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এ ভালোবাসা পেতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
উৎকোচ প্রদান করেছেন – এমন অভিযোগ কোনভাবেই করা যাবে না।
উদ্দেশ্য সাধনের উপায়
ট্রাম্প এবং পুতিন একবার শীর্ষ সম্মেলনে
বসেছিলেন, যেটি আপেক্ষিক ব্যর্থতায় সমাপ্ত হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে চারবার সংক্ষিপ্ত
সাক্ষাৎ হয়েছে। নেতানিয়াহু গত দুই বছরে ট্রাম্পের সাথে পাঁচটি সফল বৈঠক করেছেন, এবং
একই সমান সফল ১৩টি বৈঠক করেছেন পুতিনের সাথে গত চার বছরে।
নেতানিয়াহু নেটওয়ার্ক স্থাপনের ব্যাপারে
বেশ পারদর্শী, কার সাথে সখ্য গড়তে হয়, সেটা তিনি বেশ ভালো করেই জানেন। তিনি অনেক বিপত্তি
সত্ত্বেও তিনি পুতিনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন, কারণ
রাশিয়া একমাত্র পরাশক্তি, যাদের মধ্যপ্রাচ্যের সব কয়টি গুরুত্বপূর্ণ সক্রিয় শক্তিদের
সাথে সরাসরি আলোচনা চলছে। রাশিয়ার আলোচনা চলছে এরকম শক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে হামাস ও
হেযবুল্লাহ এবং ইরান, সৌদি, মিসর ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলো।
ওয়াশিংটনের কাছ থেকে নিজেদের পরাশক্তি
হিসেবে এবং তাদের প্রভাবের জায়গাগুলোর স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যাপারে রাশিয়ার আগ্রহের সুযোগকে
নেতানিয়াহু কাজে লাগান। এ জন্য তিনি ট্রাম্পের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ককে ব্যবহার করেন।
২০১৮ সালে রাশিয়ার সামরিক বিমান ভূপাতিত
করার বিষয়ে ইসরায়েলের ভূমিকা রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট খুব তাড়াতাড়ি অতিক্রম করতে পেরেছেন,
সে ঘটনায় ১৫ জন রাশিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে পুতিন সাহেব সিরিয়া থেকে বিদেশী
শক্তি সরানোর ব্যাপরে ইসরায়েলের সাথে একটি কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে
সম্মত হয়েছেন।
ইসরায়েল কর্তৃক সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন
এবং ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে খোলামেলা বোমা হামলার প্রতিও পুতিনের নীরব সম্মতি রয়েছে।
ক্রেমলিন (রাশিয়া) নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্র,
সিরিয়া এবং ইরানের মধ্যে ‘গ্র্যান্ড উইথড্রয়াল’এর ব্যাপারে সালিসি করতে বলা থেকে দূরে
থাকছে। এ পরিকল্পনা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাখ্যানই করতেন, কারণ এতে ইরানের
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তাড়াতাড়ি প্রত্যাহার করার আহ্বান রয়েছে।
দুই কূল রক্ষার খেলা
এটা একটা কূটনৈতিক জুয়াখেলার মতো। নেতানিয়াহু
নেতানিয়াহু রাশিয়ান সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। কারণ এ বিষয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সিরিয়া নিয়ে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করার ক্ষেত্রে
“যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে” এমন কোন চুক্তি করার বিষয়ে তাকে “খুব বেশি
সচেতন” থাকার জন্য সতর্ক করেছিলেন।
তা সত্ত্বেও, কয়েক মাস পরও যখন তার সতর্কীকরণে
কোন ফল আসেনি, গ্রাহাম তারপরও নেতানিয়াহুর জন্য অপেক্ষা করেন এবং গোলান মালভূমির বিষয়ে
ট্রাম্প প্রশাসনকে ইসরায়েলি অন্তর্ভুক্তিকরণের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প খুশি মনে এটা মেনে নেন, এ প্রক্রিয়ায়
তিনি আন্তর্জাতিক আইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত নীতি উপেক্ষা করেন। এর জবাবে পুতিন
কিছুই করেন নি এবং নেতানিয়াহুর সাথে তার সর্বশেষ বৈঠকেও স্পষ্টত কিছু বলেন নি।
রাশিয়ার হয়তো কিছু বন্দী দরকার, কিন্তু
নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউজে এর চেয়ে ভালো কোন সহযোগীর কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারতেন না। ট্রাম্প
ইরানের ব্যাপারে ইসরায়েলের অবস্থানকে এবং জেরুজালেম ও গোলান মালভূমি দখলকে পুরোপুরি
সমর্থন করেছেন।
এরপর পশ্চিম তীরের পালা। নেতানিয়াহু গত
সপ্তাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি যদি নির্বাচনে বিজয়ী হন, তবে অধিকৃত ফিলিস্তিনি
অঞ্চলসমূহকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলবেন। এবং আবারো, তিনি ট্রাম্পের সমর্থন এবং
পুতিনের নীরবতা প্রত্যাশা করবেন।
সর্বোপরি, নেতানিয়াহু হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের
আকার পুনঃনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে এক সাথে কাজ করাতে ব্যর্থ
হয়েছেন, তবে ভূমধ্য সাগরের পূর্বাঞ্চল ইসরায়েল যেভাবে চায় সেভাবে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে
ট্রাম্প এবং পুতিনের সমর্থন আদায় করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
________________________________
সুদীর্ঘ এ নিবন্ধটি
আল জাজিরা ইংরেজির ইন-ডেপথ বিভাগে “Netanyahu,
Trump and Putin: A love story” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। লেখক আল জাজিরার
জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ছবি: আল জাজিরা থেকে সংগৃহীত।